অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব 29 মে ফুল এপিসোড । অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব Written Update

|
Facebook

Anurager Chhowa Today Episode Written Update 29 May

Can’t catch tonight’s Anurager Chhowa on TV? We’ve got the full written update for you—complete with key moments and image downloads.

আজ রাতের “অনুরাগের ছোঁয়া” দেখতে পারলেন না? আপনার জন্য সম্পূর্ণ লিখিত আপডেট, হাইলাইট সিন এবং ইমেজ ডাউনলোড লিঙ্ক নিয়ে এলাম।

যদি ভালোবাসা সত্যি হয় শত বাঁধাও কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। আজকে তাই আমরা দেখতে চলেছি দীপার ভালোবাসা। সাত জন্মের ভালোবাসা যেখানে সূর্যদীপা কখনো আলাদা হওয়ার নয়। হয়তো কখনো ঝড় এসে তাদের দুজনকে আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু তার পরবর্তীতে তারা আবারো এক হয়ে গেছে। তো সেই আজকের সেই পর্বের বিশ্বাসটা আমরা জানতে পারব। আজকে উর্মির চোখে ধুলো দিয়ে আজকে কিন্তু সূর্যদীপা আবারো এক হয়েছে। সূর্যদীপা আবারো কিন্তু নতুন জীবন শুরু করতে চলেছে। তো চলো শুরু করা যাক বেশি আলোচনা না করে একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণে। তো আজকের পর্বে আমরা এটাই দেখতে পাচ্ছি দীপা চলে এসেছে একদম সূর্যের বাড়ির সামনে এবং হরিশকে বলছে হরিশ তুমি চলে যাও। তুমি যাও গিয়ে তোমাকে যা যা বলেছি তুমি তাই তাই করবে। বাড়ির ভিতরে গিয়ে কিন্তু ডক্টর সূর্য সেনগুপ্তকে কিন্তু এই ইনভিটেশন কার্ডটা দেবে। তখন হরিশ সেখান থেকে নেমে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে কিন্তু সেনগুপ্ত বাড়িতে মানে যেখানে সূর্য আছে সেখানে গিয়ে কলিং বেলটা বাজায়। এদিকে তখন জয় ফোনে কথা বলছিল। জয় বলতে লাগে দীপ তুমি গিয়ে ফোনটা দরজাটা খুলে দাও। কিন্তু দীপ সেখান থেকে যায় না। তখন সেখানে উর্মি আসার বলতে লাগে তোমার খুব জেদ হয়েছে তাই না? কোন কথা শোনা যাচ্ছে না। তখন তখন সেখান থেকে আস্তে আস্তে করে উর্মি কিন্তু সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং এগিয়ে গিয়ে দরজা খুলতে কিন্তু দেখতে পায়। সেখানে কিন্তু হরিশ চলে এসছে এবং সে হরিশ এসে বলতে লাগে যে আমি হরিশ বলছি আমি হরিয়ানা থেকে এবং দীপা ম্যাডাম এই ইনভিটেশন কার্ডটা দিয়েছে ডক্টর সূর্য সেনগুপ্তকে তখন জয় বলতে লাগে তুমি আমাকে দাও উর্মি বলতে লাগে তুমি আমাকে দাও কিন্তু হরিশ বলতে লাগে না এটা কিন্তু দীপা ম্যাডাম শুধুমাত্র সূর্য সেনগুপ্তর হাতেই দিতে বলেছে তখন জয় বলতে লাগে যে দীপা ম্যাডাম তো এই সূর্য তো এখন বাড়ি নেই সেক্ষেত্রে ও তো আমার দাদা আমার কাছে দিয়ে দাও এদিক থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এদিক থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি দীপ কিন্তু বারবার ডাকছে বারবার ডাকছে জাযা কোথায় গেছো যা তুমি চলে এসো তাড়াতাড়ি চলে এসো তোমার জন্য একটা ইনভিরেশন কার্ড এসছে তখন আস্তে আস্তে করে সূর্য চলে আসে এবং সূর্যের হাতে সেই ইনভিশন কার্ডটা দেয় আর সেই কার্ডটা দেখে কিন্তু সূর্যের মাথাটা ঘুরে যায় সূর্য আবারো হারিয়ে যেতে লাগে তার অতীত জগতের সেই ভিড়ে যে জগতটা তার অনেক পরিচিত অনেক চেনা ওই জগতের সঙ্গে যেন সাত জন্মের নয় যুগ যুগ ধরে যেন সূর্যের চেনা পরিচিত তাই দীপার ছবি আঁকা সেই ইনফ্লেশন খাট দেখে কিন্তু সূর্য অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আর বলতে লাগে এটা দীপা পাঠিয়েছে বা দিপাই শুধু পাঠিয়েছে। এদিকে তখন হরিশ বলতে লাগে স্যার এটা কিন্তু আপনার জন্য সফ আপনার জন্য। আপনি কিন্তু যাবেন শুধু ইনভিটেশনে। তখন সূর্য বলে ঠিক আছে আমি আসবো। আর আমি আসবো এই কথাটা শুনেই কিন্তু এখানে সোনার চোখটা কপালে উঠে গেছে। সোনা তো মানতেই পারছে না যে দীপার সাথে ডক্টর সূর্য সেনগুপ্ত একা একা দেখা করতে যাবেন। তখন হরিশ সেখান থেকে চলে যায়। আর তখনই সূর্য সেই ফুলটাকে নিয়ে সুন্দর মুহূর্তটা কাটাতে শুরু করে দেয়। সুন্দরভাবে কাটাতে শুরু করে দেয়। তখন সেখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি সোনা প্রচন্ড রকমের অঙ্গাভঙ্গি করতে লাগে এবং তখন উর্মি মনে মনে ভাবতে লাগে না আমাকে কিছু একটা করতে হবে দাদাকে তো একা একা ছেড়ে দেওয়া যায় না তার জন্য আমাকেও যেতে হবে এদিকে সোনা বলতে লাগে বাবা তুমি একা যাবে না তোমার সঙ্গে আমি যাব তখন সূর্য বলতে লাগে না বাবা তুমি যেও না তুমি যেও না এদিকে দেখতে পাচ্ছি এরকম বর্ষটা শুরু হয়ে গেছে এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে তখন সোনা বিভিন্ন রকমের কথাগুলো মনে করতে শুরু করে দেয় তার মা তার রুডিকে কিভাবে খুন করেছিল তার মা কিভাবে বলেছিল এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সেই কুন্তা দেবী সোনা নাকে কিভাবে ভুল বুঝিয়েছিল পুরো বিষয়টা সোনার মাথায় ঘুরতে থাকে ফিরতে থাকে তাই সে বাবার সঙ্গে বিভিন্ন রকমের বোঝাপড়া করতে লাগে বাবা ওই মহিলাটাকে তুমি চেনো না চেনো না ওই মহিলাটা একটা বাজে মহিলা ওই মহিলা একটা খারাপ মহিলা আর অন্যদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে হারিশ চলে গিয়েছে দীপার কাছে দীপা তখন বলে হারিশ তোমাকে যা যা বলেছি তুমি তাই তাই করেছো তো তখন হরিশ বলে হ্যাঁ ম্যাডাম আপনি যা যা বলেছিলেন তাই তাই করেছি তখন দীপা মনে মনে ভাবতে লাগে এবার দেখি কে আমাদেরকে আলাদা করতে পারে দীপা যখন সেখান থেকে চলে যায় তখন সেখানে সেই গুন্ডাগুলো যারা সরজনী মার্কেটে দীপার মেয়ে মানে সোনার উপরে হামলা করেছিল সোনার সঙ্গে বসবোদামি করেছিল সেই সেই গুন্ডাগুলোই কিন্তু সামনে তাকায় আর বলতে লাগে এই চলে আয় ম্যাডাম কিন্তু সামনের দিকে এগিয়ে গেছে আজকের আমি দেখাবো এর তেজ কতটা তার ব্যবস্থা আমি করব এই বলে গুন্ডাগুলো কিন্তু দীপার পিছনে ধাওয়া করতে শুরু করে দেয় এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি সূর্যের হাত থেকে সেই ফুলটা কেড়ে নিয়ে সোনার সামনের দিকে ছুটে যায় আর বলতে লাগে ওই মহিলার দিবা কোন জিনিস কোন রকমের কিছু আমি এ বাড়িতে রাখতে চাই না চাই না বলে ফেলে দিতে চাই তখন সূর্য প্রচন্ড হুংকার করে ওঠে আর তার হাত থেকে জোর করে সেই ফুলের তোড়াটা এবং সমস্ত বিষয় বিষয়গুলো কিন্তু কেড়ে নেয় কেড়ে নিয়ে বলতে লাগে তুমি কি করছো এসব তোমার কি শিক্ষা হয়েছে তুমি বারবার ভুলে যাচ্ছ তোমাকে আমি বারবার বলেছি না ওই মহিলা আমাদের একটা কলিগ আমাদের আমাদের ম্যাডাম সেক্ষেত্রে উনার সঙ্গে তোমার এত সম্পর্ক কেন তুমি চেন ওনাকে তখন তখন সোনা বলতে লাগে বাবা তুমি চেন ওনাকে তুমি চেন আমি হারে হারে চিন ওই মহিলা আমাদের জীবনকে শেষ করে দিয়েছে আমার জীবনকে নরকে পরিণত করে দিয়েছে তুমি চেনো তখন তখন সূর্য বলতে লাগে আরে তুমি চেন তুমি মহিলাটাকে চেন তখন সোনা বলতে লাগে হ্যা আমি চিনি আমি চিনি বলেই তো এতটা করছি তখন সেদিকে উর্মি মনে মনে ভাবতে লাগে না এ পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সোনা এক্ষুনি বলে দেবে না তো ওর মায়ের পরিচয়টা তাই উর্মি সামনের দিকে এগিয়ে যায় সোনাকে বলতে লাগে তুই কেন এমন করছিস আরে একটু হলেই তো তুই তো নিজের মায়ের পরিচয়টা দিয়ে দিছিস না না করিস না এরকমটা করিস না তো সোনা বলে হ্যাঁ আমি করব আমি করব বাবা কেন ওই মহিলার দেওয়া জিনিসপত্র এই বাড়িতে রাখবেন আমি রাখতে দেব না এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি সূর্য আবার প্রচন্ড ক্ষেপে গেছে সোনার উপরে সোনাকে চোট করতে লাগে সোনা তুমি কি করছো তোমার না একদম শেষ করে দেব তুমি কেন এরকম করছো তুমি বারবার কেন এমনকে বাধা দিচ্ছ কেন বলতো তখন সোনা বলতে লাগে বাবা ওই ওই মহিলাটা ভালো না। ওই মহিলাটা বাজে মহিলা। ওই মহিলাটা একটা খারাপ মহিলা। ওই মহিলার কাছে আপনি যাবে। তুমি যেও না তুমি যেও না। তখন সূর্য বলতে লাগে আমাকে ইনভাইট করেছে আমি অবশ্যই যাব। হয়তো কোন বিজনেসের বিষয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে চাই। তাই জন্য আমাকে ডেকেছে। তখন সোনা প্রশ্ন করতে লাগে। তাহলে আপনাকে কেন? তোমাকে কেন একা ডেকেছে। আর কাউকে তো এখানে যেতে পারেনি। তখন সূর্য বলতে লাগে আরে আমাকে প্রয়োজন আমাকে ডেকেছে। আর তুমি কেন যাবে? সোনা বলতে লাগে না বাবা আমি যাব। আমাকে তোমার সঙ্গে নিয়ে যেতেই হবে। আমি যাব ওই মহিলার সঙ্গে। আমি একা তোমাকে দেখা করতে যাব না। সূর্য কোন মতেই রাজি হতে চাইছে না। সে বলে না আমি যেতে দেব না। আমি যেতে দেব। আমি আমি আমি একাই যাব। আমি একাই যাব। ওখানে কাউকে কারো যাওয়া হবে না। তখন সেখানে উর্মিসে বলতে লাগে দাদাই সোনা যখন যেতে চাইছে যাক না। সোনা যখন যেতে চাইছে যাক। কোন সমস্যা নেই। ও যখন যেতে চাইছে আপনি তো মেয়ের কথা ফেলতে পারে না। সোনার কথা তো আপনি কোনদিন ফেলেন না। তা আপনি কি নিয়ে যান? তখন সূর্য একটু অনুমতি দেয়। তখন তখন সেখানে উর্মি মনে মনে ভাবতে লাগে যাক মেয়েকে বাবার সঙ্গে পাঠানো গেল। সূর্য তখন একেবারে তেজ দেখে সেখান থেকে ঘরে চলে যায় প্রচন্ড রাগ করে। আর অন্যদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে গুন্ডাগুলো কিন্তু গাড়িতে করে ধাওয়া করতে শুরু করে দিয়েছে। দীপা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দীপার গাড়ির পিছন পিছন কিন্তু সেই গাড়িটা চলে যাচ্ছে এবং গুন্ডাগুলো বলতে শুরু করে দেয় এর খেলা এবার দেখাবো। একটু নামুক একটু নামুক হঠাৎ করে দীপা নেমে যায় এবং গুন্ডাগুলো কিন্তু আস্তে আস্তে নেমে যায়। দীপা যখনই অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে গুন্ডাগুলো কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে। আর যেই না প্রবেশ করেছে সেখানকার সিকিউরিটি গার্ড বলতে লাগে তোমরা কারা? তোমাদের কি তোমাদের কি কোন এপয়েন্টমেন্ট আছে? তখন গুন্ডাগুলো বলতে লাগে কেন? এখানে দেখা করতে গেলে কি এ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগবে? আমাদের ম্যাডামের সঙ্গে খুব পরিচয়। আমরা ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তখন সেখানে হরিশ চলে আসে বলতে লাগে এই তোমাদের নাম বাতাও নাম বাতাও। তোমাদের নাম কি? তোমাদের নাম কি? তখন গুন্ডাগুলো ভয় করতে শুরু করে দেয়। তখন বরিশ বলতে লাগে নাম বলো নাম বলো নাম বলো। কিন্তু গুন্ডাগুলো বলে না নাম বলা যাবে না। নাম বলা যাবে না। এই বলে গুন্ডাগুলো সেখান থেকে চলে যায়। আর এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি দীপা হোটেলে কারো সঙ্গে একটা কথা বলছে আর বলতে লাগে যে হ্যাঁ। চারটে কার্ড কিন্তু রাখবেন এবং সে প্রত্যেকটা প্রত্যেকটা টেবিলের সামনে কিন্তু প্রত্যেকটা নাম কিন্তু থাকবে ডক্টর সূর্য সেনগুপ্ত দীপা সেনগুপ্ত রুপা সেনগুপ্ত এবং সোনা সেনগুপ্ত এই চারটে চারটে কিন্তু নাম চারটে টেবিলে দেওয়া থাকবে এবং সবাই কিন্তু ওখানে আসবে আপনি কিন্তু সেইভাবে একেবারে গুছিয়ে গাছি প্ল্যান করে রাখবেন এই বলে দীপা ফোনটা রেখে দেয় তখন সেখানে হরিশ আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ায় আর বলতে লাগে আপনাকে আজকে খুব খুশি দেখাচ্ছে দীপা ম্যাডাম আপনাকে খুব খুশি দেখাচ্ছে তখন দীপা বলতে লাগে হ্যাঁ অনেকদিন পরে আমরা একসঙ্গে হয়েছি আমরা একসঙ্গে হব আর কি আমি তো ডক্টর সূর্য সেনগুপ্তকে ইনভাইট করেছি ওর সঙ্গে সোনাও আসবে আমরা সোনা রুপা সূর্য সেনগুপ্ত আমি সবাই মিলে একাকার হয়ে যাব তখন সেখানে তখন সেখানে অবিনাশ স্যার বলতে লাগে যে সোনা কি আসবে সত্যিই আসবে তখন দিপা বলতে লাগে হ্যাঁ সবাই আসবে আমার বিশ্বাস ওরা সবাই আসবে সোনাও সেখানে আসবে তখন অবিনাশ স্যার বলতে লাগে হ্যাঁ আপনার সব ওভারকাম আপনার তো কনফিডেন্স লেভেলটা অনেক বড় আপনি সত্যিই খুব কনফিডেন্স লেভেলটা খুব ভালো তাহলে আপনি বলেন তো খুনটা কে করেছিল আর এ কথা শুনতেই কিন্তু দীপার চোখটা কপালে উঠে যায় খুনটা কে করেছিল দীপা এ প্রশ্নের উত্তর আর দিতে রাজি নয় তখন তখন অবিনাশ বলতে লাগে খুনটা তো আপনি করেননি এটা 100% সিওর কিন্তু সোনা খুন করেছিল না না সোনা তো নিজের স্বামীর চিন্তায় বিবর হয়ে এতটা দিন সাদা ধান কাপড় পড়ে রয়েছে স্বামীর জন্য সে মঙ্গল কামনা করছে সোনায় খুন করতে পারে না তাহলে কে খুন করেছিল কাকে বাঁচানোর জন্য আপনি আপনি এই খুনের বোঝাটা মাথায় নিয়েছিলেন কে আপনার স্বামী না না সে তো এরকম খুন করতে পারে না তাহলে কে খুন করতে পারে আপনার স্বামী না একটা সন্তান সে আছে কার জন্য আপনি কার জন্য এত ভালোবাসা রেখে দিয়েছিলেন যে যার খুনের মানে মানে কি বলবো যার খুনের বিষয়টা আপনি মাথা পেতে নিয়েছেন তখন তখন দীপা একটু আশ্বস্ত হয় আর বলতে লাগে দীপা প্রথমে ভয় করে গিয়েছিল তাই বলতে লাগে অবিনাশ এই বিষয়টা জানাটা কি খুব জরুরি অতীত জীবনে এসব বিষয়গুলো আমি আর জানতে চাই না আমি আর বলতেও চাই না বিষয়গুলো কি হয়েছিল না হয়েছিল আমি আর কিচ্ছু জানতে চাই না হঠাৎ করে এমন সময় হরিশ চলে আসে আর এসে বলতে লাগে যে এখানে না দুটো গুন্ডা এসেছিল দুটো গুন্ডার মত লোক এসেছিল ওদের চুলটুল করে এরকম ঝকড়া ঝাকড়া ওর এসে না দীপা ম্যাডাম আপনার খোঁজখছিল আমি যেই নাম জিজ্ঞেস করলাম সেই না দৌড়ে ছুড়ে পালিয়ে গেল তখন সেখানে অভিনেশ বলতে লাগে কারা এসছিল কারা এসছিল এই দেখো তো সিসিটিভি ক্যামেরাটা চেক করে তখন দীপা আস্তে আস্তে করে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে চেক করে আর সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করতে বুঝতে পারে যে সরজিনী মার্কেটে ওই দুটো গুন্ডা তাদের উপরে হামলা করেছিল তখন অবিনাশ জিজ্ঞেস করে কি বুঝতে পারলেন বুঝতে পারলেন কে ওটা তখন দীপা বলতে লাগে হ্যাঁ আমি বুঝতে পেরেছি ওই দুটো গুন্ডা যে দুটো ক্রিমিনাল আমাদের সহজনী মার্কেটে আঘাত করেছিল তখন অবিনাশ বলতে লাগে আপনি ভয় পাচ্ছেন না তখন দীপা বলতে লাগে না না ভয় পাওয়ার কি আছে ভয় পাবো না আমার জীবনে এত এতগুলো ক্রিমিনাল দেখেছি বা দেখতে হয়েছে আমাকে আমার না আর ভয় লাগে না এসব বলে না অভ্যাস হয়ে গেছে। এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি হরিশ তখন বলতে লাগে যে ম্যাডাম আপনি আমাকে বলবেন আমি সবকিছু ব্যবস্থা করে দেব। তখন সেখানে অবিনাশ বলতে লাগে ওই দুটো মানুষকে যেন আমাদের অফিসের কোন যেন চত্রে যেন না দেখে কোন আশেপাশে যেন না দেখি। তখন হরিশ বলতে লাগে আমি হরিয়ানার ছেলে আছি না কোন সমস্যা নেই। আমি সবকিছু ম্যানেজ করে নেব। এই বলে হরিশ সেখান থেকে চলে যায়। তখন দীপা হাসিমুখে বিষয়টাকে ম্যানেজ করে নেয়। তখন সেখানে অবিনাশ আস্তে আস্তে করে এগিয়ে আসে। আর বলতে লাগে আপনি আমাকে বলেননি তো যে আপনার জীবনে এত ক্রিমিনাল দেখেছেন? তখন দীপা বলতে লাগে আসলে ঠাকুর আমাকে কেন পরীক্ষা নেয়? বারবার আমি কিছু বুঝতে পারি না। বারবার ঠাকুর আমাকে পরীক্ষা নেয়। আমি অনেক ক্রিমিনাল দেখেছি এবং সেই ক্রিমিনাল দেখতে দেখতে নতুন ক্রিমিনাল এত হয়ে গেছে যে পুরনো কথা আমি ভুলে গেছি। তাই আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন আমার সমস্যা হয় না। আমার কোন রকমের সমস্যা হয় না। তখন এদিকে অবিনাশ স্যার অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে আর বলতে লাগে দীপা ম্যাডাম সত্যিই আপনি একটা অসাধারণ প্রতিভার মানুষ। আপনি একটা আলাদা লেভেলের মানুষ। আপনার সঙ্গে কারো জুড়িমালা ভার। তখন দীপা বলতে লাগে কেন অসাধারণ কেন? কোন সমস্যা নেই। আমি একটা নরমাল মানুষ। আমি আমার মত করে বাঁচি। আমি আমার মত করে চলি। কিন্তু অবিনাশ বলতে লাগে না ম্যাডাম আপনি হচ্ছে একটা আলাদা ক্যাটাগরির মানুষ আপনার মধ্যে আলাদা প্রতিভা শক্তি রয়েছে তখন দিপা বলে তাই বুঝি তো এইভাবে কথোপকথন কিছুটা চোর সময় চলে তারপরে কিন্তু আমরা পরের পর্ব দেখতে পাচ্ছি যে দীপা সূর্য কিন্তু ঘরের মধ্যে সেই দিপার ইনভিটেশন কাস্ট কার্ডটা নিয়ে কিন্তু ঘরের মধ্যে একেবারে চিন্তাভাবনা করতে লাগে এই মেয়েটাকে আমি চিনি এর সঙ্গে যেন আমার জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক কি হতে পারে এই মেয়েটা কে হতে পারে দীপা নামটা যেন খুব চেনা চেনা লাগছে এমন সময় সেখানে আর চলে আসে উর্মি আর উর্মি উর্মি এসে বলতে লাগে দাদাই আপনি ওষুধটা খেয়ে নিন তখন সূর্য ওষুধ টা খেয়ে নিতে যায়। আর উর্মি জলটা নিয়ে জলটা দিয়ে যেই না রাখতে যায়। তখনই সেখানে দ্বীপ চলে আসে। দীপ এসে বুঝতে পারেনি যে তার মা সেখানে রয়েছে। দীপ এসে বলতে চাচা তোমার না কিছু ফটো দেখানো রয়েছে। তখন উর্মি প্রচন্ড চিৎকার করে ওঠে। দীপ কার ফটো দেখাবে এখন? তখন দীপ একটু চমকে ওঠে বলতে লাগে আমার একটা বন্ধুদের নাম ফটো তুলেছিলাম। সেই ফটোগুলো আমি দেখাতে চাই। তখন সেখানে। উর্মি মনে মনে ভাবতে লাগে। না এদেরকে আমি তো বারণ করতে পারবো না। এদিকে সূর্য বলতে লাগে হ্যাঁ ফটোটা তুমি দেখাও। উর্মি তুমি এখন যাও না। তুমি এখান থেকে চলে যাও। দীপ কি ফটো দেখাতে এসছে? ফটোগুলো দেখে নি। তুমি এখান থেকে যাও। পরে এসো উনি। তখন উর্মি মনে মনে ভাবতে লাগে না ফটোও দেখাবেই দেখাবে আমি তো এখানে বারণ করতে পারবো না কিন্তু আমি এখান থেকে চলে গিয়েও যেতে পারবো না আমাকে এখানে থাকতেই হবে দেখতে হবে ও কি করতে চলেছে তাই উর্মি আস্তে আস্তে করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং সেখানে দরজার আল থেকে দেখতে লাগে তখন সেখানে সূর্য বলতে লাগে এই দীপ কি ফটো দিচ্ছ দাও না দাও না দেখাই আমাকে দাও তখন দীপ ফটোগুলো তুলে দেয় আর সূর্য তখন জিজ্ঞেস করে এই ফটোগুলো কার ফটো তখন দীপ বলতে লাগে এই ফটোগুলো হচ্ছে বড়মার ফটো তোমার ওয়াইফ তোমার স্ত্রীর ফটো আর এ কথা শুনতেই উর্মি চোখটা কপালে উড়ে যায় দীপ তাহলে এত বড় শয়তানি করছে তার বড় মাকে মনে করার চেষ্টা করছে তখন সূর্য চিৎকার তখন জিজ্ঞেস করে কি বলছো তুমি আমার বউ আমার ওয়াইফ দপা সেনগুপ্ত আমার ওয়াইফ তখন বলতে লাগে হ্যা হ্যা যে হ্যা ওইটাই তোমার ওইটাই তোমার ওয়াইফ তুমি ভুলে গেছ তুমি ভুলে গেছ তখন সূর্য ভালো করে দেখার চেষ্টা করতে লাগে সেই ফটোগুলো কিন্তু ওষুধটা একটু আগেই খাইয়ে দিয়েছে সূর্যের চোখে বিষয়টাই কিন্তু ঘোলা ঘোলা লাগছে ঘোলা ঘোলা লাগছে তখন সূর্য কিছু মনে করতে পারছে না দীপ আমার চোখে না কোন সমস্যা হচ্ছে বারবার কিন্তু আমি দেখে বুঝতে পারছি না যেন ঘোলা ঘোলা লাগছে আমি কিন্তু চিনতে পারছি না তখন দীপ বলতে লাগে যে তুমি ভালো করে দেখো না ভালো করে দেখো তুমি চিনতে পারবে ঠিক বুঝতে পারবে তুমি ঠিক বুঝতে পারবে কিন্তু সূর্য বলতে লাগে না আমার চোখে কোন সমস্যা হচ্ছে চোখে ঘোরাঘুলা লাগছে আমি কিছু বুঝতে পারছি না এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি তখন অন্যদিকে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি দরজার আল থেকে কিন্তু উর্মি মনে মনে ভাবতে লাগে না না আমাকে এক্ষুনি সোনার কাছে যেতে হবে আমি তো এক্ষুনি ঘরের মধ্যে ঢুকতে পারবো না সোনার কাছে যেতে হবে ওকে না নিয়ে আসলে সমস্যা হয়ে যাবে সব ভাতের বাইরে চলে যাবে সব নাগালের বাইরে চলে যাবে না এক্ষুনি সোনাকে ডেকে আনতে হবে এই বলে উর্মি আস্তে আস্তে করে নিচে নেমে যায় আর এদিকে সূর্য আস্তে আস্তে করে মনের খাতায় মনের পাতায় কিন্তু উদ্ভাষিত করতে লাগে আর দ্বিপাশে প্রতিচ্ছবিগুলো ভেসে উঠতে শুরু করে দেয় ডাক্তার বাবু ডাক্তার বাবু ভালোবাসাটা কিন্তু অত সহজ নয় অনেক কষ্ট করে পেতে হয় এই সমস্ত বিষয়গুলো সূর্যের মনের খাতায় মনের পাতা কিন্তু আওড়াতে থাকে আর দিব বলতে লাগে ওই যে মেয়েটা ওই যে ওই যে ম্যাডামটা আপনাকে তোমাকে ডাক্তার বাবু বলে ডাকতো ডাক্তার বাবু তখন সূর্যের চোখটা কপালে উঠে যায় সূর্য মনে মনে কিন্তু হারিয়ে যেতে শুরু করে হ্যা সত্যিই তো ডাক্তার বাবু বলে কে তাকে ডাকতো কেউ তাকে ডাকতো আর এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি সোনা সোনাস নেমে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে তখন সেখানে উর্মি গিয়ে তাকে ধরে আর বলতে লাগে যা সর্বনাশ য়ে গেল সর্বনাশ হয়ে গেল দীপ তোর মায়ের ফট নিয়ে সব তোর বাবাকে দেখাচ্ছে সব সর্বনাশ হয়ে গেল সব সর্বনাশ হয়ে গেল তখন সেখানে সোনা প্রচন্ড রেগে মেগে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায় ঘরের মধ্যে ঢুকে যায় আর গিয়ে দীপকে প্রচন্ড জোরে একটা থাপ্পড় মেরে তার হাত থেকে ফটগুলো তুলে নেয় আর বলতে লাগে আর জীবনে কষনো যেন এই মহিলার ফটো যেন আমার বাবাকে দেখে না তুই কি করছো এটা কি করছো তুমি তখন বলতে লাগে কেন বড়মার ছবি দেখাচ্ছি বড় মার কথাগুলোকে মনে করানোর চেষ্টা করছি তখন সোনা চিৎকার করে না ও যে মহিলা বাবার সঙ্গে চিট করেছে আমার সঙ্গে চিট করেছে আমার পুরো ফ্যামিলির সঙ্গে চিট করেছে যে মহিলা আমার জীবনটাকে নরকে পরিণত করে দিয়েছে। আমাকে বিধবা বানিয়ে রেখে দিয়েছে। ওই মহিলার ছবি ওই মহিলার নাম এই বাড়িতে যেন না হয়। এই বলে এই বলে এই বলে সোনা কিন্তু প্রচন্ড রকমের চোটপাট করতে লাগে দ্বীপের উপর। এদিকে সূর্য প্রচন্ড চিৎকার করে ওঠে। সোনা তুমি কি করছো? কি করছো? কার গায়ে হাত দিলে? তুমি তোমার দাদার গায়ে হাত দিলে। কিন্তু সোনা বলতে লাগে না বাবা তুমি ভুল ভাবছো। বাবা তুমি ভুল ভাবছো। ও যে মহিলা আমাদেরকে শেষ করে দিয়েছে। আমাদের জীবনটাকে নরকে পরিণত করে দিয়েছে। তোমাকেই এ ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বাবা ওই মহিলা যদি সত্যিই তোমার ভালো থাকতো। তোমার সত্যি যদি তোমার ভালো চাইতো তাহলে কিন্তু ওই মহিলা তোমার সঙ্গে থাকতো। তোমাকে একা থাকতে হতো না বাবা তুমি বোঝার চেষ্টা করো ওই মহিলা একটা চিটিংবাজ ওই মহিলা একটা চিটিংবাজ ঠকবাজ ওই মহিলা একটা মানে কি বলব বাজে মহিলা ওই মহিলার নাম পর্যন্ত এই বাড়িতে নেবে না ওই মহিলার ছবি আমি রাখবো না এই বলে সোনাম সেই ছবিগুলো একা ছিড়ে ছাড়খা করে দেয় এদিকে সূর্যের মাথাটা ধরে আসে সূর্য আর কিছুই মনে করতে পারছে না সূর্যের মাথার মধ্যে যেন প্রচন্ড রকমের পাক দিয়ে উঠেছে এমন সময় উর্মি দেখতে দেখতে দেখে পরিস্থিতি একটা মানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে তখন সেখানে উর্মি চলে আসে এই তোরা কি করছি এখানে যা যা এখান থেকে যা দাদা এখন রেস্টের দরকার দাদাই আপনি শুয়ে পড়ুন আপনি শুয়ে পড়ুন আপনার রেস্টের দরকার তো সূর্য বলতে লেগে প্লিজ উর্মি এখান থেকে চলে যাও আমার একটু একা থাকতে দাও আমাকে একটু একা থাকতে দাও তখন সেখানে উর্মি মনে মনে ভাবতে লাগে বাহ কাজ তো হয়েছে তখন সূর্য আস্তে শুয়ে পড়ে আর এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি দীপা তাদের পুরনো স্মৃতিগুলো সমস্ত পুরনো স্মৃতিগুলো সূর্য সোনা রুপা তাদের সঙ্গে মৃতভাবে যে ছবিগুলো সেই ছবিগুলো খাটের উপরে এটাকে একটা করে বিছিয়ে বিছিয়ে ধরে এবং সে বিছিয়ে বিছিয়ে এসে মনের খাতায় মনের পাতায় উল্টাতে থাকে আমার জীবনে সবকিছু একা হয়ে গেলেও অনেক দূরে থাকলেও আমার জীবনে এইগুলো হচ্ছে অনেক মূল্যবান অনেক দামি জিনিস এগুলোকে নিয়েই তো আমি বেঁচে আছি আমার সোনা রুপা আমার সোনা রুপা এই বলে দীপা মনে মনে করতে লাগে আমি যেদিন মনে আছে ডাক্তার বাবু আমি যেদিন আপনার বাড়িতে প্রথম এসেছিলাম যেদিন তখন আমাকে মেনে নেয়নি কিন্তু পরবর্তীতে যখন আমাকে মেনে নিয়েছিল তখন সে সব থেকে বেশি আপনি খুশি হয়েছিলেন আর মা যে আমার উপরে কবে থেকে আমার উপরে ভরসা করতে শুরু করে দেবে কবে থেকে আমি মায়ের ভরসা হয়ে যাব আমি সেটাও নিজেও বুঝতে পারিনি যে মানুষটা আমাকে একটা সময় পরে তাড়িয়ে দিয়েছিল সেই মানুষটাই আমাকে আপন করে নিয়েছিল আমাকে অনেক আপন অনুভূতি দিয়েছিল প্রসেনগুপ্ত পরিবারটা আমার দায়িত্বে রেখে দিয়েছিল আজকে সে মায়ের কথাগুলো কিন্তু দীপার প্রচন্ড মনে মনে করতে লাগে মনের খাতায় মনের পাতায় ওড়াতে শুরু করে দেয়। আর এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি আবারো একটা ফটো নিয়ে দীপা দেখতে লাগে সেখানে ছোট্ট সোনা ছোট্ট রুপার ছবি আছে। তাই দীপা ফটোগুলোকে চুমু দিয়ে বলতে লাগে সোনা রুপা হিংসুকুটি পাতামে তোমরা একে অপরের থেকে কোনদিন আলাদা থাকতে পারো না। তোমরা আমি জানি তোমরা কোনদিনও একে অপরের থেকে আলাদা থাকতে পারো না। হয়তো ঝামেলা করেছো। হয়তো শক্তি করেছো। কিন্তু আবারও কিন্তু তোমরা একা একাকার হয়ে যাবে। এই বলে দীপা সমস্ত ছবিগুলোকে নিয়ে মনের খাতায় মনের পাতা কিন্তু উল্টাতে শুরু করে দিয়েছে। হঠাৎ করে একটা ঝোড়ো হাওয়া আসে। তখন দীপা মনে মনে ও ভাবতে লাগে না কোন ঝড় আমাদের আলাদা করতে পারবে না কোন ঝোড়ো হাওয়া আমাদেরকে শেষ করে দিতে পারবে না আমরা আবারো হাসিতে খুশিতে বাঁচবো আমরা আবারো একাকার হয়ে যাব মিলে মিশ একাকার হয়ে যাব আমরা চারজন আবার এক হয়ে যাব কোন ঝড় আমাদেরকে আলাদা করতে পারবে না তাই দীপা নিজের মনের কাছে নিজে কঠোর প্রতিজ্ঞাবদ্ধতা শুরু করে দেয় এদিকে সূর্য বেরিয়েছে এবং সে দীপার কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায় তখন সেখানে দীপ সূর্যের পায়ের দিকে একটু তাকায় বলতে লাগে যে যা আমার জুতো পড়েছো তখন দীপা বলতে সূর্য বলতে লাগে হ্যাঁ পড়েছি তাই কি হয়েছে আমার সারের সঙ্গে আমার এই এর সঙ্গে মানে পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করেছে বলে পড়েছি। তখন দিব বলতে লেখে তো আমার জুতো। তখন সূর্য বলতে লাগে আরে বাবা তোমার ফেভারিট আমার ফেভারিট সব মিলে মিশে একাকার আমার ফেভারিট তোমার ফেভারিট তোমার ফেভারিট আমার ফেভারিট। তখন দীপ বলতে লাগে না না কোন সমস্যা নেই। আমি জাস্ট বলছিলাম যেটা আমার জুতো। তখন সেখানে সূর্য বলতে লাগে যে আজকে আমি দেখা করতে যাব দীপা সেনগুপ্তের সঙ্গে। দীপা ম্যাডামের সঙ্গে আমি দেখা করতে যাব। তখন দীপ বলতে লাগে আপনাকে না মানে তোমাকে না খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। যারা তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। আমি না বুঝতেই পারছি না তুমি দাদা নাকি অন্য কিছু। মানে কি এতটাই ভালো লাগছে। শরীরটা এত সুন্দর হ্যান্ডসাম হয়েছো। তোমাকে খুব হ্যান্ডসাম লাগছে আজকের। তখন সেখানে সূর্য বলতে লাগে হ্যাঁ অবশ্যই অবশ্যই আমি যাব। এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি হঠাৎ করে কলিং বেল বেজে ওঠে এবং সেখানে কিন্তু উর্মি এগিয়ে যায় দরজাটা খুলে দেয়। সেখানে কিন্তু একটা ফুল দিয়ে যায় একটা ডেলিভারি বয়। তখন সূর্য এগিয়ে যায় বলতে লাগে এই ফুলটা আমি দীপার জন্য অর্ডার করেছিলাম। দীপা আমাকে একটা ফুল দিয়েছিল। তাই আমি দফার জন্য একটা ফুল অর্ডার করেছিলাম। এই ফুলটা নিয়ে আমি দীপার কাছে যাব। এলে সূর্য যখনই বেরতে যাবে তখন সেখানে সোনা বলতে লাগে বাবা তুমি ভুলে গেছো। তোমার সঙ্গে আমারও যাওয়ার কথা ছিল। তখন সূর্য বলতে লাগে দেখো মা একটা জিনিস বোঝার চেষ্টা কর। একটা জিনিস বোঝার চেষ্টা করো। তুমি কিন্তু সেখানে ইনভাইটেড নয়। তুমি কিন্তু যাচ্ছ যদিও যেতে চাচ্ছ আমার সঙ্গে তবুও আমি বলব তুমি কিন্তু সেখানে ইনভিটেশন পাওনি। তুমি ইনভাইটেড নয়। তবুও আমার সঙ্গে যদি যেতে চাও তখন ওখানে গিয়ে এমন কোন কাজ করো না। এমন কোন বাজে ব্যবহার করো না যাতে তোমার বাবার অসম্মান হয়। ঠিক আছে তুমি এসো। এই বলে সূর্য সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং সোনামও তার পিছন পিছনে এগিয়ে যায়। এদিকে তখন উর্মি বলতে লাগে দীপ তুই বাড়িতে থাক। তোর বাবা তো বেরিয়েছে একটা কাজে। আমি ওটা কাজে বেরচ্ছি। তুই বাড়িতে থাক। তুই বাড়িতে খেয়ে দিয়ে নিস। তখন সুদীপ বলতে লাগে কি পাহাড়া দিতে যাচ্ছো তো? তখন সূর্য উর্মি প্রচন্ড রেগে যায় আর বলতে লাগে দীপ মুখ সামলে কথা বল। তখন দীপ বলতে লাগে কেন? পাহারা দিয়ে কোন লাভ হবে না। বড় মা আর জাহায়া যখন এক হয়েছে যা যখন এক হয়েছে বড় মা যখন এক হয়েছে তখন আর ওদেরকে কেউ সামলাতে পারবে না। কেউ আটকাতে পারবে না। আরে যাও না তুমি যাও না তখন উর্মি প্রচন্ড চিৎকার করতে লাগে। কিন্তু দীপ বলতে লাগে আরে যাও না তোমার লেট হয়ে যাচ্ছে। দেরি হয়ে যায় তুমি চলে যাও। তখন উর্মি আর কি বলে? দীপের উপরে কোন কথা বলতে পারো না। সে সামনের দিকে এগিয়ে যায় উর্মি। আর এদিকে দীপ মনে মনে কিন্তু হারিয়ে যেতে লাগে। হ্যাঁ সত্যিই তারা আবারো এক হয়ে যাবে। দরজাদের যা বড় মা সবাই কিন্তু এক হয়ে যাবে। আর অন্যদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে দীপা দাঁড়িয়ে রয়েছে সূর্যের জন্য অপেক্ষা করছে সে হোটেলের মধ্যে। এমন সময় সেখানে সূর্য চো চলে আসে। আর তখনই কিন্তু দীপাকে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে এবং সূর্য দীপার হাতে সে ফুলের ত্রাটা তুলে দেয়। আর সে ফুলের ত্রাটা দেখে কিন্তু দীপা অবাক হয়ে যায়। আর দীপা বলতে লাগে ডক্টর সূর্য সেনগুপ্ত কনগ্রাচুলেশনস। তাকে অভিনন্দন জানায়। তখন সূর্য হাসিমুখে বিষয়টাকে ম্যানেজ করে নেয় এবং দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তারা মিলে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। আর এভাবেই শেষ হয়ে যায় আজকের পর্ব। বন্ধুরা দীপা যেই প্ল্যানগুলো করছে সূর্য কি খুব দ্রুতই দ্রুতই কি তার স্মৃতিশক্তি ফিরে পেয়ে আবারো দীপাকে আপন করে নেবে কাছে পেয়ে নেবে তোমাদের কি মনে হয় কমেন্ট করে কিন্তু অবশ্যই জানিও সো চলো তাহলে আজকে এই পর্যন্তই থাক